জীবন্ত কিতাব মুফতী ডক্টর মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।

জীবন্ত কিতাব আল্লামা মুফতী ডক্টর মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর (দা:বা) একটি বিপ্লব একটি ইতিহাসের নাম।


লেখক
-মুফতী আনিসুর রহমান জাফরী
==============
আমার দৃষ্টিতে যা সত্য তাই বলছি। কে কি মন্তব্য করবেন সেটা আমার দেখার বিষয় নয়! কেননা, মন্তব্য করার অধিকার আপনার আছে। শিরোনামটি অনেকের নিকটই অপ্রিয় হলেও সত্য যে- আমি অধম গুনাহগার দেশ-বিদেশে অসংখ্য ওস্তাযদের দারছে হাদিস ও ক্বেরাতের ক্লাশে বসার সুযোগ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
★বিশেষত : মক্কা-মদিনা শরীফ, লিবিয়া, মিশর, কাতার, মালয়েশিয়া, করাচিরসহ বাংলাদেশের অসংখ্য প্রখ্যাত ক্বারী, শায়খুল হাদিস, মুফাসসির, ফকীহ, পীর- মাশায়েখগণের সরাসরি দারসের ক্লাশে বসার সুযোগ পেয়েছি কিন্তু আল্লামা আব্বাসী (দা:বা)-এর মতো জিবন্ত মাকতাবাতে শামেলা আমি চোখে দেখিনি।
★★★তিনি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ওস্তায।

★দেখেছি কেবল জীবন্ত মাকতাবাতে শামেলা আল্লামা আব্বাসী হুজুর-কে অনন্য ব্যতিক্রম। খুব কাছে থেকেই বহু বছর দেখেছি উনার এলেমের গভীরতা সুবহানাল্লাহ! যেন আসলেই জীবন্ত মাকতাবাতে শামেলা এবং হামেলা দুটো-ই।

★আলোচিত কিছু বিষয়ে ভিন্নতার কারণে কেউ কেউ উনার গোপনে বিরুধীতা করলেও আবার সকলেই একমত হবেন যে, আসলেই উনী একজন উচ্চমাফের মুজতাহিদ।
যা স্বয়ং নিজেই স্বীকার করেছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ইসলামীক স্কলার, আমার শ্রদ্ধাভাজন ওস্তাযুল মুকাররাম ড. আল্লামা সাইয়্যিদ কামাল উদ্দীন জাফরী, আল্লামা জাফরুল্লাহ খানসহ বিশ্বখ্যাত অনেক মুফাসসির মুহাদ্দীস ফকীহগণ।

★আমি দেখেছি-
হাদিসে রাসূল (সা)-এর প্রতি উনার আদব,মহব্বত,বুদ্ধি, সাহস ও তাজীম সুবহানাল্লাহ! যা ভাষায় ব্যক্ত করার মত কোন শব্দ আমার সৃত্মিভান্ডারে নেই।

★উনি আল্লাহর কুরআনের সুরা আল-হাজ্জের ৩২ নং আয়াতের আলোকে ৪টি জিনিসকে সর্বোচ্চ (তাজীম) সম্মান প্রদর্শণ করে থাকেন সর্বাবস্তায়। আর (তাজীম) সম্মান প্রদর্শণ করাটাই হল-উনার নীতিগুলোর অন্যতম মূলনীতি।

★আর তিনি সর্বাবস্তায় ত্বাহারাতকে অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়ে যে- বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাঁর উপমা তিনি ই নিজে।
না বললে কার্পণ্য হবে তাই বলতে হচ্ছে-তিনি একাধিকবার নতুন অযু-গোসল করে হাদিসের দারসে বসেন যার আমল করেছেন আমাদের ইমাম আবু হানীফা (রহ:) । হাদিস শরীফ দারসের জন্য তিনি নতুন (পবিত্র) কাপড় পড়েন, আতর সুগন্ধি মাখেন এবং হাদিস শরীফ নতুন সুগন্ধিযুক্ত কাপড়ের ওপর রাখেন যা অন্যকোনো কাজে ব্যবহার করেন না। অতপর পুনরায় ৩ বার ভালো করে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করে আতর মেখে নেন। অতপর গভীর মনোযোগ সহকারে দোয়া, দরুদ, সালাম, তাসবিহ পড়ে দারস শুরু করেন যেন মহাসমূদ্র সৈকতের বিচিক্ষণতার অধিকারী সুযোগ্য এক নাবিক সুবহানআল্লাহ!

★উনী যে ৪টি জিনিসের তাজীম করেন সর্বোচ্চ :-
১. বাইতুল্লাহ'র
২. ইবাদাতুল্লাহ'র
৩. কিতাবুল্লাহ'র
৪. সর্বোচ্চ রাসুল্লাহ সা:-এর। এ সকল বিষয়ের প্রতি
এমন আদব তাজীম মহব্বত আর কোনো ওস্তাযদের মধ্যে আমি উনার মতো করে দেখিনি সুবহানাল্লাহ!

★আল্লাহ উনাকে সকল দুশমনের দুশমনি হতে হিফাজত করুন আর মিথ্যা,হয়রানী, ষড়যন্ত্রেমূলক মামলা হতে রক্ষা করুন। (আমিন)

#মায়াস #সালাম
হুজুরের নেক দোয়া কামনায়-
এমএ জাফরী।

Post a Comment

0 Comments